প্রথমে আমার আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা গ্রহন করুন । মুসলমান ভাইবোনদের আমার সালাম আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ ও হিন্দু ভাইবোনদের কে আদাব জানিয়ে আমি আজকের পোষ্ট লিখা শুরু করছি ।
আপনারা কম-বেশী সবাই কম্পিউটার ব্যবহার করেন কিন্তু কম্পিউটারের মধ্যে আপনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফাইল বা ফোল্ডার থাকে যেগুলো আপনি সবার আড়ালে রাখতে চান।
অনেকেই সফটওয়্যার ব্যবহার করেন লক করে রাখার জন্য আবার অনেকেই হাইড করে রাখেন।
মাঝে মাঝে সফটওয়্যার কাজ করেনা তার জন্য আপনার গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলো বা ফোল্ডারগুলো অন্যের নজরে চলে আসে এবং আপনার অনেক মূল্যবান
ফাইল বা ফোল্ডার আপনার ছোট কোন ভাই ডিলিট করে ফেলে। তার জন্য আপনার অনেক ক্ষতি হয়ে যায়।
আজ আপনাদের কাছে তুলে ধরব কীভাবে সফটওয়্যার ছাড়া আপনার মূল্যবান ফাইল বা ফোল্ডার সিকিউরিটি দিয়ে রাখবেন যাতে কেউ না দেখতে পারে এবং ডিলিট করতে না পারে।
তাহলে মূল কথায় আসা যাক-
আপনি যে ফাইল বা ফোল্ডার সিকিউরিটি দিবেন তার মধ্যে যান।
সেখানে গিয়ে ফোল্ডারের উপর মাউসের রাইট বাঁটন ক্লিক করুণ।
তারপর properties এর মধ্যে যান।
===না বুঝলে নিচের স্ক্রিনশট দেখুন তাহলে ব্যাপার টা অনেক ক্লিয়ার হয়ে যাবে===
নতুন যে উইন্ডো আসবে তারমধ্যে security অপশন আছে সেখানে যান। সেখান থেকে Edit অপশনে ক্লিক করেন।
===না বুঝলে নিচের স্ক্রিনশট দেখুন তাহলে ব্যাপার টা অনেক ক্লিয়ার হয়ে যাবে===
আর একটি নতুন উইন্ডো আসবে সেখানে গিয়ে change permissions এর মধ্যে যান।
===না বুঝলে নিচের স্ক্রিনশট দেখুন তাহলে ব্যাপার টা অনেক ক্লিয়ার হয়ে যাবে===
নতুন করে আবার আর একটি উইন্ডো আসবে সেখানে গিয়ে deny এর বক্সের মধ্যে ক্লিক করুণ।
===না বুঝলে নিচের স্ক্রিনশট দেখুন তাহলে ব্যাপার টা অনেক ক্লিয়ার হয়ে যাবে===
সেখানে দেখতে পাবেন wndows security নামে একটা ওর্য়ানিং টেবিল দেয়া আছে সেখানে Yes করে চলে আসবেন ।
এখন আপনি দেখতে পাবেন আপনার যে ফোল্ডারের মধ্যে সিকিউরিটি দিয়েছেন তা আর খুলছে না।
তাহলে আপনার কাজ সম্পন্ন হল।
এখন প্রশ্ন থাকতে পারে সিকিউরিটি দিলাম কিন্তু কীভাবে আবার খুলবো। সহজ কাজ। তার জন্য আপনাকে বেশি কিছু করতে হবে না।
আগের মত করে ফোল্ডারের মধ্যে মাউসের রাইট বাঁটন ক্লিক করবেন। properties এর মধ্যে যাবেন।
তারপর security তারপর advanced এর মধ্যে যাবেন।
নতুন যে উইন্ডো আসবে সেখানে গিয়ে Advance এর মধ্যে ক্লিক করলে আপনার যে নতুন উইন্ডো আসবে এর মধ্যে continue অপশন পাবেন। তারপর continue অপশনে ক্লিক করুন ।
এবার নতুন আরেকটা উইন্ডো আসবে সেখান থেকে Deny লেখাটিতে ডাবল ক্লিক করুন।
তারপর যে নতুন উইন্ডো আসবে সেটাতে দেখবেন Disallow করা আছে আপনি সেটাকে Allow করে দিন। তারপর ok তে ক্লিক করুন ।
এবার আবারো ok তে ক্লিক করে চলে আসুন ।
এবার দেখুন আগের সবকিছু ফিরে এসেছে । ব্যস হয়ে গেলো সফটওয়ার ছাড়াই ফাইল হাইড করা ও আনহাইড করার সিস্টেম ।
বিঃদ্রঃ যারা একটু কম বুঝেন তারা আগে যেকোন একটা ফোল্ডার বানিয়ে সেখানে কিছু অপ্রয়োজনীয় ফাইল রেখে চেষ্টা করুন।
আশা করি আগে যারা এই সিস্টেমে ফাইল হাইড করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন ,তারা এবার খুব সহজেই পারবেন । আমার জন্য দোয়া করবেন,আর একটা কথা কেউ কপি করলে সরাসরি সাইটের পোষ্টের লিংক ক্রেডিট হিসাবে দেওয়ার জন্য অনুরোধ রইলো।
আবার কথা হবে কোনো না টিউটোরিয়ালে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন এই কামনা করে শেষ করলাম আল্লাহ হাফেজ
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন